সমগ্র অনলাইন যেন তথ্যের এক মহাসমুদ্র। নানা ধরনের ওয়েবসাইটে রয়েছে নানা ধরনের তথ্য্। কিন্তু অনলাইনজুড়ে এত ওয়েবসাইটের ভিড়ে ভিজিটর কোন নির্দিষ্ট তথ্যের জন্য ঐ ধরনের বিষয়বস্তুর সব ওয়েবসাইট কি ভিজিট করতে পারে বা করা সম্ভব হয়। সহজ উত্তর ”না”। ভিজিটর তার নির্দিষ্ট তথ্যের জন্য সেসব সাইটেই বেশি ভিজিট করে যেগুলি সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্টে প্রথম পেজে আসে। কিন্তু আপনারা নি্শ্চয় জানেন কোন সাইট এমনিতেই সার্চ রেজাল্টের প্রথম পেজে আসেনা বরং এজন্য অনেক কাঠ খড় পোড়াতে হয়। SEO ও SMM এর মাধ্যমে কো্ন সাইটকে আমরা গুগলের ফার্স্ট পেজে নিয়ে আসতে পারি। বন্ধুগণ আজ আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি কীভাবে কোন সাইটকে গুগলের সার্চ রেজাল্টের প্রথম পেজে নিয়ে আসা যাবে। তো চলুন দেখে নেওয়া যাক আলোচনাটি।
ইউনিক কনটেন্ট
যেকোন ব্লগের সফলতার প্রাথমিক শর্ত হাই কোয়ালিটি ইউনিক কনটেন্ট। সার্চ ইঞ্জিনগুলি ইউনিক কনটেন্টকে সবসময় সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আগে কপি পেস্টের মাধ্যমে কোন ব্লগ পোস্ট দিলেও প্রচুর ব্যাকলিংকের মাধ্যমে কোন সাইটেকে গুগলের সার্চ রেজাল্টের প্রথম পেজে নিয়ে আসা যেত। কিন্তু অতি সম্প্রতি গুগল পান্ডা এবং পেঙ্গু্ইন আপডেটের ফলে এখন আর অসংখ্য ব্যাকলিংকের মাধ্যমে সাইটকে সার্চ রেজাল্টের প্রথম পেজে আনা সম্ভব নয়। বরং অতিরিক্ত ব্যাকলিংক ক্রিয়েট করলে গুগল সেটিকে স্প্যাম হিসাবে গণ্য করে। এবং যে সাইটের জন্য এসব অতিরিক্ত ব্যাকলিঙ্ক তৈরী করা হয় সে সাইটকে গুগল তার ইনডেক্স থেকে বাতিল করে দেয়্। সুতরাং বুঝতেই পারছেন হাই কোয়ালিটি ইউনিক কনটেন্টের গুরুত্ব্। একটি পোস্ট সাধারণত 300-500 শব্দের মধ্যে করলেই ভাল হবে। তবে পোস্ট লিখার সময় এসইও’র কথা ভেবে এত ঘন ঘন কীওয়ার্ড ব্যবহার করেন যে কীওয়ার্ড ডেনসিটি অনেক বেড়ে যায়। এ ধরণের পোস্টগুলিও সাধারণত সার্চ ইন্জিনে কোন গুরুত্ব পায় না। সুতরাং পোস্ট লেখার সময় খেয়াল রাখবেন যেন সেটি ভিজিটরদের উদ্দেশ্যে লেখা হয়, সার্চ ইন্জিনের জন্য নয়, তাহলে অতিরিক্ত কীওয়ার্ড পরিহার করে আপনি একটি ন্যাচারাল পোস্ট লিখতে পারবেন।সঠিক কীওয়ার্ড খুজে বের করা
আপনার ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তুর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কীওয়ার্ড খুজে বের করতে হবে। আপনি গুগল এডওয়ার্ডস গিয়ে সেসব কীওয়ার্ড খুজে বের করতে পারেন যেগুলির মাধ্যমে বেশি সার্চ করা হয়ে থাকে। তবে কীওয়ার্ড ব্যবহার করতে আর্টিকেল লেখার সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে। খেয়াল রাখবেন যেন কীওয়ার্ড খুব বেশি ব্যবহার করা না হয় আবার খুব কমও না হয়।গুগলে সাইটম্যাপ সাবমিট করা
সার্চ রেজাল্টের প্রথম পেজে আসার জন্য আপনার ওযেবসাইটের সাইটম্যাপ তৈরী করে গুগলে সাবমিট করতে হবে। গুগল সাইটম্যাপের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের স্ট্রাকচার তখা কনটেন্ট বা বিষয়বস্তু সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে পারবে। যেটি আপনার সাইটকে সার্চ রেজাল্টের প্রথম পেজে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহায়ক হবে।গেস্ট ব্লগিং
আপনার সাইটকে সার্চ ইন্জিনের প্রথম পেজে আনতে গেস্ট ব্লগিংযের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গেস্ট ব্লগিংযের জন্য কিছু প্রসিদ্ধ সাইট রয়েছে যেখানে আপনি আপনার পোস্ট সাবমিট করতে পারেন। গেস্ট ব্লগিং করলে আপনি একইসাথে বেশ কিছু উপকারীতা পাবেন। প্রথমত আপনি আপনার সাইটের জন্য ভাল কিছু সাইটের ব্যাকলিঙ্ক পাবেন এবং সেই সাথে ব্লগিং কমিউনিটির সাথে আপনার সাইটের তথা আপনার পরিচিতি হবে। আপনি গেস্ট ব্লগিং করলে আপনার সাইটে আপনি টার্গেটেড ভিজিটর পাবেন। সুতরাং বুঝতেই পারছেন গেস্ট ব্লগিংয়ের গুরুত্ব।লংটেইল কীওয়ার্ড
মনে করুন কোন পোস্টের জন্য কীওয়ার্ড হচ্ছে “Android Smartphone”. তাহলে এটাই যদি মুল কীওয়ার্ড হয় অন্য ব্লগাররাও তাদের সাইটে এ কীওয়ার্ড ব্যবহার করবে। সেক্ষেত্রে আপনাকে কীওয়ার্ড কম্পিটিশনে পড়তে হবে। এবং আপনার সাইটের সার্চ রেজাল্টের প্রথম দিকে আসা তুলনামূলক কঠিন হয়ে পড়বে। এজন্য আপনি লংটেইল কীওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন। যেমন এখানে আপনি লিখতে পারেন “New Android Smartphone” অখবা “Android smartphone 2013”. এ কীওয়ার্ডগুলি একটু দীর্ঘ বা লংটেইলযুক্ত। আপনি এ কীওয়ার্ড ব্যবহার করলে আপনাকে কম পরিমাণ কীওয়ার্ড কম্পিটিশন ফেস করতে হবে যেটি আপনার সাইটকে সার্চ রেজাল্টের প্রথম পেজে আনতে সহায়তা করবে।ব্যাকলিঙ্ক
ব্যাকলিঙ্কের প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই রয়েছে। তবে অতিরি্ক্ত ব্যাকলিঙ্ক ক্রিয়েট করলে সেটি সাইটের জন্য ক্ষতিকারক। কোন সাইটের জন্য অতিরিক্ত ব্যাকলিঙ্ক ক্রিয়েট করলে সেটি সার্চ ইঞ্জিনগুলি স্প্যাম হিসাবে গণ্য করে। যেমন গুগলের ক্ষেত্রে কোন সাইটের ব্যাকলিঙ্ক স্প্যাম কমেন্ট হিসাবে গণ্য হলে গুগল তার ইনডেক্স থেকে এসব সাইটকে বাদ দিয়ে দেয। আপনি ব্যাকলিঙ্ক ক্রিয়েট করার জন্য Social bookmarking, Guest Blogging, Forum posting, Link while, Relevant blog comment, Directory submission, RSS Submission ইত্যাদি করতে পারেন্। তবে এগুলি অবশ্যই পরিমিত মাত্রায় হতে হবে। যেমন 5টি করে Social bookmarking, Relevant blog comment ইত্যাদি অন্যান্য ব্যাকলিঙ্কগুলিও করতে পারেন। তাছাড়া কোন পোস্ট পাবলিশড করার পর চেষ্টা করবেন ঐ পোস্টের পারমালিঙ্কের উপর কয়েকটি অথরিটি ব্যাকলিঙ্ক তৈরী করার। এটি আপনি গেস্ট ব্লগিংয়ের মাধ্যমে করতে পারেন। এ নিয়মগুলি অনুসরণ করে ব্যাকলিঙ্ক ক্রিয়েট করলে আপনি আপনার সাইটকে সার্চ রেজাল্টের প্রথম পেজে নিয়ে যেতে পারবেন বলে আশা করা যায়।বিজনেস সাইটের প্রোফাইল সাবমিট করা
যদি আপনার ওয়েবসাইটটি বিজনেস সংক্রান্ত হয় তাহলে বিস্তারিত বিজনেস প্রোফাইল superpages.com সাইটে সাবমিট করা। গুগল সমস্ত বিজনেস প্রোফাইল এই সাইটে সার্চ করে থাকে। এটি গুগলের প্রথম পেজে কোন সাইটকে নিয়ে আসতে সহায়তা করে।
অনেক কিছু জানলাম.rzamankhokon
উত্তরমুছুন