সাইবার আক্রমণ এখন প্রতিদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। হ্যাকার শব্দটি শুনলেই আমরা নড়ে চড়ে উঠি। সাধারণভাবে হ্যাকার শব্দটি কালো-টুপি হ্যাকার অর্থেই সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। এরা মূলত ধ্বংসমূলক বা অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে থাকেন। এছাড়া নৈতিক হ্যাকার
রয়েছেন (সাদা টুপি হ্যাকার নামে পরিচিত)। নৈতিকতা সম্পর্কে অপরিষ্কার হ্যাকার আছেন যাদের ধূসর টুপি হ্যাকার বলে। এদের মধ্যে পার্থক্য করার জন্য প্রায়শই ক্র্যাকার শব্দটি ব্যবহার করা হয়। এর মাধ্যমে কম্পিউটার নিরাপত্তা হ্যাকার আর একাডেমিক বিষয়ের হ্যাকার আলাদা করা হয়। মজার বিষয় হচ্ছে অধিকাংশ হ্যাকিংই করা হয় সম্পূর্ণ ব্যাক্তি ইচ্ছায় বা শখের বসে। অথচ এর ফলাফল রীতিমত কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য হুমকিস্বরূপ হয়ে দেখা দেয়। কখনো নষ্ট হয় প্রতিষ্ঠানের সুনাম আবার কখনো কোন প্রতিষ্ঠানকে পড়তে হয় বড় ধরণের আর্থিক ক্ষতিতেও।
আবার বলা যায়, হ্যাকাররা আছে বলেই হয়তো আমরা আমাদের ওয়েব বা সফটওয়্যার কে আরও নিখুঁত, নিরাপদ ও শক্তিশালী করে তুলছি। তথ্য সংরক্ষণের কৌশল আবিষ্কার এবং সেই তথ্যকে অবৈধভাবে ফাঁসের কৌশল যেন পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলছে। হ্যাকিং জগতে আলোচিত ৫ জন হ্যাকার সম্বন্ধে সংক্ষেপে তুলে ধরা হল-
১. জনাথন জেমস: জনাথন জেমস এর কথা শুনলে অনেক কিশোর হয়তো হ্যাকার হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে তৎক্ষণাৎ। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি পরিপূর্ণ হ্যাকার হয়ে উঠেছিলেন। ফলে তাকে ১৫ বারেরও বেশী জেলে যেতে হয়েছিলো। ইউএস ডিফেন্স ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইট তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে রীতিমত চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছিল। ইউ এস ডিফেন্স সার্ভার থেকে জনাথন প্রায় তিন হাজার অতিগোপন বার্তা ও ব্যবহারকারীদের পার্সওয়ার্ড চুরি করেছিলেন। ১.৭ মিলিয়ন ডলারের নাসা সফটওয়্যার চুরি করে নাসার সার্ভার ও সিস্টেমকে শাটডাউন করতে বাধ্য করেছিলেন এই হ্যাকার। সাইবারস্পেসে এই অস্বাভাবিক ব্যবহারের জন্য জেমসকে ১০ বছর কম্পিউটার স্পর্শ করা থেকে বিরত রাখতে একরকম বাধ্য করেছিল বলা যায়!
২. আদ্রিয়ান লামো: মাইক্রোসফট থেকে শুরু করে ইয়াহু, সিটিগ্রুপ, ব্যাংক অব আমেরিকা, সিঙ্গুলার এবং দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এর কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্রেকডাউন এর সর্বপ্রথম বিশ্বরেকর্ড করেন বোস্টনে জন্ম নেয়া হ্যাকার আদ্রিয়ান লামো। ‘হোমলেস হ্যাকার’ হিসেবে পরিচিত এই হ্যাকারকে ২০০৩ সালে আদালতের নির্দেশে ৬৫০০০ ইউএস ডলার জরিমানা গুণতে হয়েছিলো। ২০১০ সালে বাগদাদে বিমান আক্রমণের ভিডিও উইকিলিকস এর মাধ্যমে তিনিই প্রকাশ করেন। লামোকে নিয়ে ‘হ্যাকার ওয়ান্টেড’ নামের একটি ডকুমেন্টারিও নির্মিত হয়েছিলো।
৩. জর্জ হটজ: অ্যামেরিকান এই হ্যাকার ২০১১ সালে সনি এরিকসন এর প্লেষ্টেশন জেলব্রেক করে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি মূলত পরিচিত ছিলেন আইফোন আনলকিং (২০০৭) এর কারনেই। পরে এই হ্যাকারের বিরুদ্ধে বিচার কার্য চলাকালীন সময়ে তার সহযোগীরা তার তৈরি পদ্ধতি জনসমক্ষে প্রকাশ করে। ফলে এনিনমাস হ্যাকারগ্রুপ সনির সার্ভারে হামলা করে প্রায় ৭৭ মিলিয়ন গ্রাহকের তথ্য চুরি করে। তবে তিনি এ বিষয়ে তার সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন ‘একটি সার্ভার এ আক্রমণ করে শুধু ইজজার এর তথ্য চুরি করার মতো কাজ তিনি হলে করতেন না কারণ এটি মোটেও সন্তোষজনক নয় অন্তত তার জন্য’।
৪. কেভিন মিটনিক: অ্যামেরিয়াকন এই লেখক মূলত একজন হ্যাকার হিসেবেই বেশী পরিচিত। ২০ শতাব্দীর পরে অ্যামেরিকার কম্পিউটার ক্রিমিনালদের সাথে তাকে যখন গ্রেপ্তার করা হয় তখন তিনি ছিলেন ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’। মটোরোলার মত বৃহৎ কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এই জিনিয়াসের দ্বারা হ্যাকড হয়েছিল যা তাকে সেই দিনগুলিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছিল। ১৯৯৫ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি তিনি গ্রেপ্তার হন। দীর্ঘ ৪৫ মাস তাকে কারাদন্ড দেয়া হয় সেই সাথে আরও ২২ মাস কারাদণ্ড দেয়া হয় শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে। এই অসম্ভব মেধাবী হ্যাকার যিনি মাত্র ১২ বছর বয়সেই অব্যবহৃত ট্র্যান্সফার্ড কার্ড (পাঞ্চ কার্ড পদ্ধতি) ব্যবহার করে করে বাসে ভ্রমণ করতেন অনায়াসে।
৫. গ্রে ম্যাককিন: তিনি সলো হিসাবে পরিচিত। স্কটিশ কন্সপিরেসির এই থিয়োরিস্ট মার্কিন এয়ারফোর্স, আর্মি, ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স, নাসা, নেভির মত বড় বড় নেটওয়ার্কে অবৈধভাবে প্রবেশ করে বিশ্বরেকর্ড করেন। গ্লোবাল এনার্জি ক্রাইসিস সমাধানের নিমিত্তে এগুলো থেকে তিনি এলিয়েন স্পেসক্র্যাফট এর যাবতীয় প্রমাণাদি চুরি ও নষ্ট করেন যা ইউএস আদালতের ভাষ্যমতে প্রায় ৭০ লক্ষ ডলারের ক্ষতির সমতুল্য। ২০০২ সালে ইউ এস আর্মির সার্ভার স্ক্রিনে Your security system is crap, it read. I am Solo. I will continue to distrpt at the highest levels এই ম্যাসেজ দেখা দিয়েছিল যা তিনিই করেছিলেন। Large scale hackings এর সূচনা করার মধ্যে দিয়ে তিনি ইউ এস আর্মির সার্ভার এ হামলা করেন। হামলার কারণ হিসাবে উল্লেখ করতে তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস ছিল তারা এমন কিছু তথ্য সেখানে লুকিয়ে রেখেছিল যা সকলের জানা দরকার।
আবার বলা যায়, হ্যাকাররা আছে বলেই হয়তো আমরা আমাদের ওয়েব বা সফটওয়্যার কে আরও নিখুঁত, নিরাপদ ও শক্তিশালী করে তুলছি। তথ্য সংরক্ষণের কৌশল আবিষ্কার এবং সেই তথ্যকে অবৈধভাবে ফাঁসের কৌশল যেন পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলছে। হ্যাকিং জগতে আলোচিত ৫ জন হ্যাকার সম্বন্ধে সংক্ষেপে তুলে ধরা হল-
১. জনাথন জেমস: জনাথন জেমস এর কথা শুনলে অনেক কিশোর হয়তো হ্যাকার হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে তৎক্ষণাৎ। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি পরিপূর্ণ হ্যাকার হয়ে উঠেছিলেন। ফলে তাকে ১৫ বারেরও বেশী জেলে যেতে হয়েছিলো। ইউএস ডিফেন্স ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইট তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে রীতিমত চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছিল। ইউ এস ডিফেন্স সার্ভার থেকে জনাথন প্রায় তিন হাজার অতিগোপন বার্তা ও ব্যবহারকারীদের পার্সওয়ার্ড চুরি করেছিলেন। ১.৭ মিলিয়ন ডলারের নাসা সফটওয়্যার চুরি করে নাসার সার্ভার ও সিস্টেমকে শাটডাউন করতে বাধ্য করেছিলেন এই হ্যাকার। সাইবারস্পেসে এই অস্বাভাবিক ব্যবহারের জন্য জেমসকে ১০ বছর কম্পিউটার স্পর্শ করা থেকে বিরত রাখতে একরকম বাধ্য করেছিল বলা যায়!
২. আদ্রিয়ান লামো: মাইক্রোসফট থেকে শুরু করে ইয়াহু, সিটিগ্রুপ, ব্যাংক অব আমেরিকা, সিঙ্গুলার এবং দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এর কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্রেকডাউন এর সর্বপ্রথম বিশ্বরেকর্ড করেন বোস্টনে জন্ম নেয়া হ্যাকার আদ্রিয়ান লামো। ‘হোমলেস হ্যাকার’ হিসেবে পরিচিত এই হ্যাকারকে ২০০৩ সালে আদালতের নির্দেশে ৬৫০০০ ইউএস ডলার জরিমানা গুণতে হয়েছিলো। ২০১০ সালে বাগদাদে বিমান আক্রমণের ভিডিও উইকিলিকস এর মাধ্যমে তিনিই প্রকাশ করেন। লামোকে নিয়ে ‘হ্যাকার ওয়ান্টেড’ নামের একটি ডকুমেন্টারিও নির্মিত হয়েছিলো।
৩. জর্জ হটজ: অ্যামেরিকান এই হ্যাকার ২০১১ সালে সনি এরিকসন এর প্লেষ্টেশন জেলব্রেক করে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি মূলত পরিচিত ছিলেন আইফোন আনলকিং (২০০৭) এর কারনেই। পরে এই হ্যাকারের বিরুদ্ধে বিচার কার্য চলাকালীন সময়ে তার সহযোগীরা তার তৈরি পদ্ধতি জনসমক্ষে প্রকাশ করে। ফলে এনিনমাস হ্যাকারগ্রুপ সনির সার্ভারে হামলা করে প্রায় ৭৭ মিলিয়ন গ্রাহকের তথ্য চুরি করে। তবে তিনি এ বিষয়ে তার সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন ‘একটি সার্ভার এ আক্রমণ করে শুধু ইজজার এর তথ্য চুরি করার মতো কাজ তিনি হলে করতেন না কারণ এটি মোটেও সন্তোষজনক নয় অন্তত তার জন্য’।
৪. কেভিন মিটনিক: অ্যামেরিয়াকন এই লেখক মূলত একজন হ্যাকার হিসেবেই বেশী পরিচিত। ২০ শতাব্দীর পরে অ্যামেরিকার কম্পিউটার ক্রিমিনালদের সাথে তাকে যখন গ্রেপ্তার করা হয় তখন তিনি ছিলেন ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’। মটোরোলার মত বৃহৎ কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এই জিনিয়াসের দ্বারা হ্যাকড হয়েছিল যা তাকে সেই দিনগুলিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছিল। ১৯৯৫ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি তিনি গ্রেপ্তার হন। দীর্ঘ ৪৫ মাস তাকে কারাদন্ড দেয়া হয় সেই সাথে আরও ২২ মাস কারাদণ্ড দেয়া হয় শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে। এই অসম্ভব মেধাবী হ্যাকার যিনি মাত্র ১২ বছর বয়সেই অব্যবহৃত ট্র্যান্সফার্ড কার্ড (পাঞ্চ কার্ড পদ্ধতি) ব্যবহার করে করে বাসে ভ্রমণ করতেন অনায়াসে।
৫. গ্রে ম্যাককিন: তিনি সলো হিসাবে পরিচিত। স্কটিশ কন্সপিরেসির এই থিয়োরিস্ট মার্কিন এয়ারফোর্স, আর্মি, ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স, নাসা, নেভির মত বড় বড় নেটওয়ার্কে অবৈধভাবে প্রবেশ করে বিশ্বরেকর্ড করেন। গ্লোবাল এনার্জি ক্রাইসিস সমাধানের নিমিত্তে এগুলো থেকে তিনি এলিয়েন স্পেসক্র্যাফট এর যাবতীয় প্রমাণাদি চুরি ও নষ্ট করেন যা ইউএস আদালতের ভাষ্যমতে প্রায় ৭০ লক্ষ ডলারের ক্ষতির সমতুল্য। ২০০২ সালে ইউ এস আর্মির সার্ভার স্ক্রিনে Your security system is crap, it read. I am Solo. I will continue to distrpt at the highest levels এই ম্যাসেজ দেখা দিয়েছিল যা তিনিই করেছিলেন। Large scale hackings এর সূচনা করার মধ্যে দিয়ে তিনি ইউ এস আর্মির সার্ভার এ হামলা করেন। হামলার কারণ হিসাবে উল্লেখ করতে তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস ছিল তারা এমন কিছু তথ্য সেখানে লুকিয়ে রেখেছিল যা সকলের জানা দরকার।
0 Comment "আলোচিত ৫ হ্যাকার"
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন