স্যামসাংয়ের ‘বিস্ময়কর’ আবিষ্কার!


মোবাইল ফোন হবে আরও পাতলা, ইন্টারনেট চলবে এখনকার চেয়েও শতগুণ দ্রুতগতিতে আর এসবই সম্ভব হবে মোবাইল ফোনে ব্যবহূত একটিমাত্র উপাদানের কারণে। সম্প্রতি স্যামসাংয়ের গবেষকেরা এই ‘আশ্চর্য উপাদান’ আবিষ্কারের দাবি করেছেন। এ আশ্চর্য উপাদানটি তাঁরা পেয়েছেন গ্রাফিন থেকে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্যামসাংয়ের গবেষকেরা দাবি করেছেন, তাঁরা এমন একটি প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেছেন যাতে গ্রাফিন ব্যবহার করে ভবিষ্যতে তাঁদের তৈরি স্মার্টফোন আরও পাতলা ও টেকসই করা সম্ভব হবে। তাঁদের দাবি, তাঁদের উদ্ভাবিত প্রক্রিয়ায় একটি গ্রাফিন ক্রিস্টাল বিস্তৃত অঞ্চল পর্যন্ত এর বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক শক্তি ধরে রাখতে পারে।
গ্রাফিনকে বিস্ময়কর উপাদান বলা হয়। যুক্তরাজ্যের গবেষকেদের তৈরি গ্রাফিন এমন একটি পদার্থ যা স্টিলের চেয়েও শক্তিশালী অথচ বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা উপাদান। বিদ্যুত্ পরিবাহী হিসেবেও গ্রাফিন চমত্কার।

গবেষকেরা বলেন, গ্রাফিন আসলে বহুরূপী মৌল কার্বনের একটি ভিন্ন অবস্থামাত্র। এটি অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বকে আমূল বদলে দিতে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন গবেষকেরা। ২০০৪ সালে আবিষ্কৃত গ্রাফিন বর্তমান বিশ্বে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, সংবেদনশীল যন্ত্রাংশ, সৌরবিদ্যুত্ কোষ, ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধির প্রযুক্তি, চিকিত্সা প্রযুক্তিসহ কয়েকটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে ব্যবহূত হচ্ছে। এর নমনীয়তা এবং শক্তিশালী উপাদান হিসেবে বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস থেকে শুরু করে চিকিত্সার যন্ত্রপাতিতেও এটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে। তবে দুষ্প্রাপ্যতা এবং জটিল ও ব্যয়বহুল উত্পাদন পদ্ধতির কারণে গ্রাফিনের ব্যবহার সীমিত রয়েছে।
তবে ভবিষ্যতে তাঁদের তৈরি এই উপাদানটি কীভাবে পরিধেয় প্রযুক্তিপণ্য, স্মার্টফোনে কাজে লাগানো হবে সে বিষয়ে কিছু জানায়নি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানটি। তবে নতুন উপাদান সম্পর্কে জানিয়েছে, পরবর্তী প্রজন্মের নমনীয় ডিসপ্লে কিংবা পরিধেয় প্রযুক্তিপণ্যের জন্য এটা আদর্শ উপাদান।’

0 Comment "স্যামসাংয়ের ‘বিস্ময়কর’ আবিষ্কার!"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thank you for your comments