প্রকৃতি আমাদেরকে যেমন প্রতিনিয়ত বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করে চলেছে, তেমনি আমাদেরকে মারারও চেষ্টা করে চলেছে বটে! বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ তো বটেই, সেই সাথে রয়েছে বিভিন্ন রোগ-জীবাণুর উপস্থিতি। শুধু মানুষ নয়, অন্যান্য অনেক প্রাণীই রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করতে করতে হেরে
যাচ্ছে এবং মারা পড়ছে। অথচ আমাদের চোখের আড়ালেই রয়েছে এমন কিছু প্রাণী যাদের প্রাণ এতটাই শক্ত যে পুরো পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেলেও তারা কোনও না কোনও ফাঁকফোকর থেকে ঠিকই বের হয়ে আসবে! জানেন কি, এরা কারা?
ডেভিল ওয়ার্ম
সহ্য করতে পারেঃ ভয়াবহ চাপ, অক্সিজেনের অভাব, উচ্চ তাপ।
মোটে ২০১১ সালে আবিষ্কার করা হয় এই কৃমি জাতীয় প্রাণীটিকে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ২.২ মাইল নিচে, যেখানে বেশিরভাগ প্রাণীর প্রাণবায়ু বের হয়ে যাবার কথা, সেখানে এরা নিশ্চিন্তে বসবাস করে থাকে। একেবারে ঘুটঘুটে আঁধারে, ১২ হাজার বছর পুরনো পানি আর সাধারণ ব্যাকটেরিয়া খেয়ে এরা বেঁচে থাকে।
হিমালয়ান জাম্পিং স্পাইডার
সহ্য করতে পারেঃ অনেক কম চাপ, হিমশীতল তাপমাত্রা।
ডেভিল ওয়ার্ম এর একেবারে উলটো হলো এই মাকড়সা। ডেভিল ওয়ার্ম যেমন খুব বেশী চাপে থাকলেও নির্বিকার, এরা তেমনি চাপের অভাবেও নির্বিকার। চাপ না থাকাকে ভালো মনে করবেন না যেন! বায়ুমণ্ডলীয় চাপের অভাবে মানুষ বাঁচবে না, বাঁচবে না আরও অনেক প্রাণী। সেখানে এই মাকড়সা সমুদ্রপৃষ্ঠের ৪.১ মাইল ওপরে বেঁচে থাকে। এরা অনেকটা সময় খাবার ছাড়া থাকতে পারে। বেঁচে থাকে কনকনে ঠাণ্ডার মাঝে। পাহাড়ি বাতাসে যেসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পোকামাকড় ভাসতে থেকে সেগুলো খেয়েই এদের পেট ভরাতে হয়। সে দিক দিয়ে বলা যায়, এরা বাতাস খেয়ে বেঁচে থাকে!
অমর জেলিফিশ
রোধ করতে পারেঃ বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়া!
অবাক লাগছে শুনে? কারণ সময় তো সবার জন্য এগিয়েই যায়, কারও জন্য থেমে থাকে না। এই মামুলি জেলিফিশের কি ক্ষমতা যে বয়স বাড়ার প্রক্রিয়া থামিয়ে দেবে? শুনুন তবে, এর ক্ষমতা এমনই, যে সে বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়া থামায় না বরং উল্টে দেয়! বিরূপ পরিবেশে এরা নিজেদের বয়স কমিয়ে একেবারে শিশু বয়সে চলে যেতে পারে! এবং নিজের জীবনে এরা কয়বার এমন বয়স কমাতে পারে তার কোনও নির্দিষ্ট সীমা নেই। এভাবে চিন্তা করলে তাদেরকে অমর ছাড়া কিছু বলা যায় না। তবে এরা আসলে অমর নয় অবশ্যই। এদের দুর্বলতা হলো বিভিন্ন রকমের শিকারি এবং রোগবালাই যাতে এরা প্রায়শই মারা পড়ে।
রেড ফ্ল্যাট বার্ক বিটল
সহ্য করতে পারেঃ ভয়ংকর ঠাণ্ডা।
উত্তর আলাস্কা এবং কানাডায় থাকে এই গুবরেপোকা জাতীয় প্রাণী। শুন্যের নিচে প্রায় ১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও এরা দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে। কিভাবে? এদের শরীরে উৎপাদিত হয় এক ধরণের প্রোটিন যা রক্তকে জমাট বাঁধতে দেয় না। আর রক্তে গ্লিসারল থাকার কারণেও সেটা বরফে রুপান্তরিত হয় না।
পম্পেই ওয়ার্ম
সহ্য করতে পারেঃ উচ্চ তাপমাত্রা, তাপমাত্রার ওঠানামা।
গভীর সমুদ্রের এসব প্রাণী থাকে কোথায় জানেন? সমুদ্রের তলদেশের থার্মাল ভেন্ট- এর মাঝে। এসব ফাটলের তাপমাত্রা ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং তার মাঝেই এরা লেজ ঢুকিয়ে বসে থাকে। এদের মাথা কিন্তু থাকে ফাটলের বাইরে, পানি থেকে শিকার ধরে খাবার জন্য। সেই পানির তাপমাত্রা আবার প্রায় ১০০ ডিগ্রি কম! ভাবুন তো আপনার মাথা ফ্রিজের ভেতরে এবং পা ধোঁয়া ওঠা পানির পাত্রের ভেতরে থাকলে কেমন লাগবে? শুধু অস্বস্তিই লাগবে না, শরীর অসুস্থ হয়ে যাবে দ্রুত। কিন্তু এমন অবস্থাতেই খাপ খাইয়ে নিয়েছে এরা! ধারণা করা হয়, এদের শরীরে বিশেষ এক ধরণের ব্যাকটেরিয়ার প্রলেপ থাকার কারণেই তাপমাত্রার প্রভাব থেকে তারা মুক্ত থাকতে পারে।
টারডিগ্রেড
সহ্য করতে পারেঃ মোটামুটি সব ধরণের পরিস্থিতি।
কয়েক মিলিমিটার লম্বা, খন্ডিত দেহের এই প্রাণীগুলো প্রচণ্ড রকমের একগুঁয়ে। পরম শুন্য থেকে শুরু করে ৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা এদের কাছে কোনও ব্যাপারই না! ১২০০ গুন বায়ুমণ্ডলীয় চাপেও এরা বেঁচে থাকে। ১০ বছর বেঁচে থাকতে পারে পানি ছাড়া। মানুষের জন্য যে তেজস্ক্রিয়তা মারাত্নক, তার চাইতেও এক হাজার গুন বেশী তেজস্ক্রিয়তা সহ্য করতে পারে এরা। এদের টিকে থাকার ক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখার জন্য বিজ্ঞানীরা ২০০৭ সালে মহাশূন্যে পাঠিয়েছিলেন এ প্রাণীর নমুনা। কি ঘটে? যতগুলোকে পাঠানো হয় তার বেশিরভাগই বহাল তবিয়তে পৃথিবীতে ফিরে আসে!
ডেভিল ওয়ার্ম
সহ্য করতে পারেঃ ভয়াবহ চাপ, অক্সিজেনের অভাব, উচ্চ তাপ।
মোটে ২০১১ সালে আবিষ্কার করা হয় এই কৃমি জাতীয় প্রাণীটিকে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ২.২ মাইল নিচে, যেখানে বেশিরভাগ প্রাণীর প্রাণবায়ু বের হয়ে যাবার কথা, সেখানে এরা নিশ্চিন্তে বসবাস করে থাকে। একেবারে ঘুটঘুটে আঁধারে, ১২ হাজার বছর পুরনো পানি আর সাধারণ ব্যাকটেরিয়া খেয়ে এরা বেঁচে থাকে।
হিমালয়ান জাম্পিং স্পাইডার
সহ্য করতে পারেঃ অনেক কম চাপ, হিমশীতল তাপমাত্রা।
ডেভিল ওয়ার্ম এর একেবারে উলটো হলো এই মাকড়সা। ডেভিল ওয়ার্ম যেমন খুব বেশী চাপে থাকলেও নির্বিকার, এরা তেমনি চাপের অভাবেও নির্বিকার। চাপ না থাকাকে ভালো মনে করবেন না যেন! বায়ুমণ্ডলীয় চাপের অভাবে মানুষ বাঁচবে না, বাঁচবে না আরও অনেক প্রাণী। সেখানে এই মাকড়সা সমুদ্রপৃষ্ঠের ৪.১ মাইল ওপরে বেঁচে থাকে। এরা অনেকটা সময় খাবার ছাড়া থাকতে পারে। বেঁচে থাকে কনকনে ঠাণ্ডার মাঝে। পাহাড়ি বাতাসে যেসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পোকামাকড় ভাসতে থেকে সেগুলো খেয়েই এদের পেট ভরাতে হয়। সে দিক দিয়ে বলা যায়, এরা বাতাস খেয়ে বেঁচে থাকে!
অমর জেলিফিশ
রোধ করতে পারেঃ বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়া!
অবাক লাগছে শুনে? কারণ সময় তো সবার জন্য এগিয়েই যায়, কারও জন্য থেমে থাকে না। এই মামুলি জেলিফিশের কি ক্ষমতা যে বয়স বাড়ার প্রক্রিয়া থামিয়ে দেবে? শুনুন তবে, এর ক্ষমতা এমনই, যে সে বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়া থামায় না বরং উল্টে দেয়! বিরূপ পরিবেশে এরা নিজেদের বয়স কমিয়ে একেবারে শিশু বয়সে চলে যেতে পারে! এবং নিজের জীবনে এরা কয়বার এমন বয়স কমাতে পারে তার কোনও নির্দিষ্ট সীমা নেই। এভাবে চিন্তা করলে তাদেরকে অমর ছাড়া কিছু বলা যায় না। তবে এরা আসলে অমর নয় অবশ্যই। এদের দুর্বলতা হলো বিভিন্ন রকমের শিকারি এবং রোগবালাই যাতে এরা প্রায়শই মারা পড়ে।
রেড ফ্ল্যাট বার্ক বিটল
সহ্য করতে পারেঃ ভয়ংকর ঠাণ্ডা।
উত্তর আলাস্কা এবং কানাডায় থাকে এই গুবরেপোকা জাতীয় প্রাণী। শুন্যের নিচে প্রায় ১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও এরা দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে। কিভাবে? এদের শরীরে উৎপাদিত হয় এক ধরণের প্রোটিন যা রক্তকে জমাট বাঁধতে দেয় না। আর রক্তে গ্লিসারল থাকার কারণেও সেটা বরফে রুপান্তরিত হয় না।
পম্পেই ওয়ার্ম
সহ্য করতে পারেঃ উচ্চ তাপমাত্রা, তাপমাত্রার ওঠানামা।
গভীর সমুদ্রের এসব প্রাণী থাকে কোথায় জানেন? সমুদ্রের তলদেশের থার্মাল ভেন্ট- এর মাঝে। এসব ফাটলের তাপমাত্রা ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং তার মাঝেই এরা লেজ ঢুকিয়ে বসে থাকে। এদের মাথা কিন্তু থাকে ফাটলের বাইরে, পানি থেকে শিকার ধরে খাবার জন্য। সেই পানির তাপমাত্রা আবার প্রায় ১০০ ডিগ্রি কম! ভাবুন তো আপনার মাথা ফ্রিজের ভেতরে এবং পা ধোঁয়া ওঠা পানির পাত্রের ভেতরে থাকলে কেমন লাগবে? শুধু অস্বস্তিই লাগবে না, শরীর অসুস্থ হয়ে যাবে দ্রুত। কিন্তু এমন অবস্থাতেই খাপ খাইয়ে নিয়েছে এরা! ধারণা করা হয়, এদের শরীরে বিশেষ এক ধরণের ব্যাকটেরিয়ার প্রলেপ থাকার কারণেই তাপমাত্রার প্রভাব থেকে তারা মুক্ত থাকতে পারে।
টারডিগ্রেড
সহ্য করতে পারেঃ মোটামুটি সব ধরণের পরিস্থিতি।
কয়েক মিলিমিটার লম্বা, খন্ডিত দেহের এই প্রাণীগুলো প্রচণ্ড রকমের একগুঁয়ে। পরম শুন্য থেকে শুরু করে ৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা এদের কাছে কোনও ব্যাপারই না! ১২০০ গুন বায়ুমণ্ডলীয় চাপেও এরা বেঁচে থাকে। ১০ বছর বেঁচে থাকতে পারে পানি ছাড়া। মানুষের জন্য যে তেজস্ক্রিয়তা মারাত্নক, তার চাইতেও এক হাজার গুন বেশী তেজস্ক্রিয়তা সহ্য করতে পারে এরা। এদের টিকে থাকার ক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখার জন্য বিজ্ঞানীরা ২০০৭ সালে মহাশূন্যে পাঠিয়েছিলেন এ প্রাণীর নমুনা। কি ঘটে? যতগুলোকে পাঠানো হয় তার বেশিরভাগই বহাল তবিয়তে পৃথিবীতে ফিরে আসে!
0 Comment "সর্বংসহা ৬ টি প্রাণী!"
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন